এখন দৈনিক সর্বোচ্চ ক্যাশইন করা যাবে ৩০ হাজার টাকা এবং মাসে করা যাবে দুই লাখ টাকা। ক্যাশআউট করা যাবে দিনে ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে দেড় লাখ টাকা। গতকাল রবিবার এসংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হুন্ডি রেমিট্যান্স আসার প্রবণতা ২০১৬ সালে ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। তখন অবৈধপথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈধপথ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ রেকর্ড পরিমাণ কমে যায়। এমন ধারায় হুন্ডি ঠেকাতে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে লেনদেন সীমা কমিয়ে দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুই বছরেরও বেশি সময় পর সেই সীমিতকরণ নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বর্তমানে নতুন খাত সম্প্রসারণে যেমন রেমিট্যান্স বিতরণ, ই-কমার্স, ক্ষুদ্র ব্যবসা, বেতন প্রদান ইত্যাদি খাতে ভূমিকা রাখছে। পেমেন্ট ইকো সিস্টেমের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নতুন নির্দেশনা জারি করা হলো।
নতুন নির্দেশনা অনুসারে প্রতিদিন ক্যাশইনের সীমা ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। মাসিক সীমা এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে দুই লাখ। আগে দিনে সর্বোচ্চ দুইবার এবং মাসে সর্বোচ্চ ২০ বার লেনদেনের সুযোগ ছিল। এখন দিনে পাঁচবার এবং মাসে ২৫ বার লেনদেন করা যাবে। এ ছাড়া দৈনিক ক্যাশআউটের সীমা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। দিনে দুইবারের পরিবর্তে পাঁচবার ক্যাশআউট করা যাবে। আগে এক মাসে দশবারে ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যেত। এখন প্রতি মাসে ২০ বারে দেড় লাখ টাকা ক্যাশআউট করা যাবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট টু অ্যাকাউন্ট লেনদেন সীমা দিনে ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা এবং মাসিক ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
একজন গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা রাখতে পারবেন। আর পাঁচ হাজার টাকার বেশি লেনদেনে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। একই জাতীয় পরিচয়পত্রে একই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে একটির বেশি অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে না। এ ছাড়া এজেন্টরা এজেন্ট অ্যাকাউন্টে লেনদেন করতে পারবেন না। একজন এজেন্ট দিনে সর্বোচ্চ পাঁচবার নিজের অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থ জমা দিতে পারবেন।
Post a Comment