সাইবার জগতসহ পুরো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তায় প্রথম এবং সর্বোচ্চ রক্ষাকবচ হচ্ছে সচেতনতা। ডিজিটাল প্রযুক্তি সচেতন এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ব্যবহার হলে সাইবার অপরাধ মোকাবেলা সহজ হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এই মত দেন দেশের সাইবার বিশেষজ্ঞ এবং তথ্য-প্রযুক্তি খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। দেশের সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গণমাধ্যমকর্মীরা এতে অংশ নেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে বলা হয়, স্মার্টফোনের কারণে সাইবার নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। নানা ধরনের সংবেদনশীল তথ্য স্মার্টফোনে থাকে। কিন্তু এই স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই খুব নাজুক। স্মার্টফোন লক করতে সাধারণত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয় যেমন—প্যাটার্ন লক, পাস কোড বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক; এগুলো খুব সহজেই হ্যাক করা যায়। তাই এ বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে এবং নতুন নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে।
কর্মশালায় আরো বলা হয়, এখন বায়োমেট্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা চলছে। ২০১৯ সালেই বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা গবেষণার জন্য সারা বিশ্বে বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ২০ দশমিক ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেট নিরাপদ রাখা আমাদের দায়িত্ব। যদি না পারি, তাহলে এটি আমাদের জন্য অপরাধ হবে। আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ঝুঁকিপূর্ণ একটি জায়গায় যেতে দিচ্ছি। এর মানে এই নয় যে তাদের ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন রাখব। বরং তাদের ইন্টারনেটের সঙ্গে রেখেই এটি নিরাপদ রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
কর্মশালায় মূল্য প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য ড. মুহম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য অপরাজিতা হক, যুগ্ম সচিব খায়রুল আমীন, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, আইন ও সংসদবিষয়ক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক প্রমুখ।
Post a Comment